বিজনেস সেক্রেটারি সাজিদ জাভিদ গতকাল কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ব্রিটেনে যে সব ছাত্র-ছাত্রী উচ্চ শিক্ষার জন্য আসেন তাদের উদ্দেশ্যে। সাজিদ জাভিদ অত্যন্ত কড়া ভাষায় তার নতুন প্রস্তাব উত্থাপন করে বলেছেন, যারা ব্রিটেনের বাইরে থেকে এবং নন-ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে এদেশে পড়ালেখা করতে আসেন, তাদেরকে পড়ালেখা শেষ করেই নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে। একথা বলেই তিনি থামেননি, তিনি আরো বলেছেন, ডিগ্রি শেষ করার সাথে সাথেই এদেরকে ব্রিটেন থেকে বের করে দিতে হবে। সেই সাথে সেক্রেটারি আরো বলেছেন, আমাদেরকে এই নিয়ম ভেঙ্গে দিতে হবে যে, যারা পড়ার নামে এদেশে আসে অথচ রাইট টু লিভ এর সুযোগ নিয়ে এদেশে থেকে যায়। সময় এসেছে এখনি এই নিয়ম ভেঙ্গে দেয়ার।
জানা গেছে, মন্ত্রীরা প্রস্তাব করেছেন, বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের ডিগ্রি শেষ করার পরে নতুন ভিসা আবেদনের মাধ্যমে দুই বছর পর্যন্ত কাজের মাধ্যমে ব্রিটেনে থাকার সুযোগ দেয়ার।
গত কোয়ালিশন সরকারের সময়ে হোম সেক্রেটারি থেরেসা মে এই প্ল্যান করতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু বিগত কোয়ালিশনের শরিক লিবডেমের বিজনেস সেক্রেটারি ভিন্স ক্যাবলের ভেটোর কারণে থেরেসা মে সফল হননি।
সরকারি হিসেব মতে বিগত জুন পর্যন্ত ১২ মাসে এদেশে বিদেশী ছাত্র-ছাত্রী এসেছেন নন-ইইউ ১২১,০০০ যার মধ্যে মাত্র ৫০,০০০ ফিরে গেছেন, বাকী ৭০,০০০ রয়ে গেছেন। সাজিদ জাভিদ আশা করছেন আগামী ২০২০ সাল পর্যন্ত ৬% হারে বিদেশী ছাত্র-ছাত্রী আসবেন ব্রিটেনে।
অবশ্য বিজনেস সেক্রেটারির এমন কঠোর প্রস্তাবের সমালোচনাও হচ্ছে। এমপ্লয়ম্যান্ট স্কিল ইসস্টিটিউটের ডিরেক্টর সীম্যান নেভিল আশা করছেন, সাজিদ জাভিদ তার প্রস্তাবকে পূণর্বিবেচনা করবেন, কেননা তার মতে এমন কঠোর নীতির ফলে আমাদের বিজনেস, আমাদের ইউনিভার্সিটি, শিক্ষা এবং কাজের বাজারে চৌকস ও মেধাবীদের সংকট ও সেবা থেকে বঞ্চিত হবে, যা এই সবগুলো সেক্টরে সমস্যা দেখা দিবে।
আর মাইগ্র্যান্ট ওয়াচ এর অ্যান্ড্রো গ্রিন বলেছেন, সরকার বর্তমানে নতুন সামার বাজেটে লিভিং ওয়েজ বৃদ্ধি করে মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়নের লো-স্কিলড ওয়ার্কারদেরকে ব্রিটেন আসার জন্য আকৃষ্ট করছে এবং ডেভিড ক্যামেরনের চার বছর অপেক্ষার ট্যাক্স ক্রেডিট নীতির সমর্থনেই করা হচ্ছে।
সাজিদ জাভিদ অবশ্যই এই বক্তব্যকে খন্ডন করে বলেছেন, না, বরং তা নয়। কেননা ইউরোপে এমনও অনেক দেশ আছে এরকম বেতন দেয়। এতে তিনি সমস্যা দেখছেন না। তিনি বলেছেন, ইউরোপ থেকে হাউজিং বেনিফিট এবং ইন ওয়ার্ক বেনিফিট নেয়ার সুযোগ নিতেই তারা ব্রিটেন আসে। তাই আমরা চিন্তা করে সাজেস্ট করেছি, আমাদের এমন কিছু করতে হবে, যাতে এই সুযোগ কেউ আর নিতে না পারে।