পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণার দেগঙ্গা থানা। বুধবার সারাদিন দেগঙ্গা থানায় ঠায় বসে রইলেন এক ধর্ষিত গৃহবধূ। মুখে দানা-পানি তুলছেন না। দাবী একটাই ‘হয় ধর্ষককে গ্রেফতার করুন নয়তো আমাকে গ্রেফতার করুন!’ খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
ধর্ষকের নাম রবিউল হক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের পর বছর ঘুরলেও পুলিশ তাকে ধরেনি। সে ফেরার বলে পুলিশের দাবি। অথচ থানাা এলাকাতেই তাকে দেখা গিয়েছে একাধিকবার। গত রোববার ওই থানার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময়ে অভিযোগকারিণী দেখতে পান রবিউল থানা চত্বরেই একটি গাড়ির ভিতরে বসে আছে। পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে হাসিঠাট্টা, চা-পান চলছে।
চোখের সামনে এই দৃশ্য দেখেই ওই গৃহবধূ সোজা ঢুকে পড়েন ওসির রুমে। রবিউলের কথা জানান। ওসি বেরিয়ে রবিউলের খোঁজ করেন। কিন্তু ততক্ষণে চলে গিয়েছে সে। ওসি তাকে কথা দেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হবে রবিউলকে।
সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলে বুধবার সকালে আবার ওসির কাছে হাজির হন গৃহবধূ। বলেন, ‘হয় রবিউলকে গ্রেফতার করুন, নয় আমাকে ধরুন!’ অভিযুক্ত ধরা না পড়া পর্যন্ত থানা চত্বরে অনশনের ঘোষণা দেন। পুলিশ সাধ্যমতো চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। তিনি জানিয়ে দেন, যতক্ষণ না গ্রেফতার করা হবে থানা চত্বরে বসেই অনশন চালিয়ে যাবেন তিনি। শেষ পর্যন্ত রাত ৯টায় তিনি থানা ছাড়েন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি বেড়াচাঁপায় নিজের বাড়িতেই রবিউল দ্বারা ধর্ষিত হন এই গৃহবধূ।