নাইজেরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গুডলাক জনাথনকে হারিয়ে বিরোধী প্রার্থী মুহাম্মদু বুহারি বিজয়ী হয়েছেন। জনাথনের চেয়ে ২০ লাখ ভোট বেশি পেয়েছেন তিনি।
১৯৯৯ সালে দেশটিতে সামরিক শাসন শেষ হবার পর এই প্রথম কোন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হলেন।
বুহারি তাকে ভোট দেয়ার জন্য নাইজেরিয়ানদের ধন্যবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন এবং বিপক্ষদলের ক্ষতি কিংবা তাদের সম্পদ ধ্বংস না করার জন্য তার সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতেই গুডলাক জনাথন তার প্রতিপক্ষ মুহাম্মদু বুহারিকে টেলিফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং পরাজয় মেনে নিয়েছেন।
বুহারি এর আগে তিনবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ব্যর্থ হয়েছিলেন। এবার তিনি বেশ কয়েকটি বিরোধী দলীয় জোটের একজন প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলন- যাদের মূল প্রতিশ্রুতি ছিল দুর্নীতি দমন এবং ইসলামপন্থী জঙ্গিগোষ্ঠি বোকো হারামকে পরাজিত করা।
নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে আসা মুসলিম জেনারেল বুহারি ১৯৮৩ সালে এক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে আরেকটি অভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন এবং তিনবছর কারাবন্দী থাকেন।
জনাথন বলেছেন, “আমি বলেছিলাম সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমি আমার কথা রেখেছি।” পর্যিবেক্ষরাও নির্বাচনের প্রশংসা করেছেন। তারা ভেবেছিলেন, নির্বাচনে ঝামেলা হবে। কিন্তু সেটি হয়নি।
বুহারির দলের এক মুখপাত্র গুডলাক জনাথন প্রশংসা করে বলেছেন, “তিনি বীর হিসেবে সবার কাছে গণ্য হবেন।”
পুরো প্রক্রিয়াটি প্রমাণ করছে যে নাইজেরিয়াতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ গভীরতর হচ্ছে, কারণ এর আগে দেশটি অভ্যুত্থান এবং নির্বাচন কারচুপির জন্যই বেশি পরিচিত ছিল।-সংবাদ সংস্থা।