বাইডেন-পুতিন বৈঠক : যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্কে টানাপড়েন কমবে কি?

118
বাইডেন-পুতিন বৈঠক : যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সরাসরি বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ১৬ জুন বুধবার সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় ১৮ শতকের লেকমুখী দৃষ্টিনন্দন গ্র্যান্ড ভিলায় দুই নেতার এই শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই দুই নেতার প্রথম কোনো সরাসরি বৈঠক।

যেসব বিষয়ে একমত হলেন বাইডেন-পুতিন

অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি এবং সাইবার সিকিউরিটি, সাইবার হ্যাকিং নিয়ে আলোচনায় সম্মত হয়েছেন বাইডেন ও পুতিন।
প্রত্যাহার করে নেওয়া রাষ্ট্রদূতদেরকে আবার একে অপরের দেশে ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়েছেন তারা।

এ বছরের শুরুতে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতির মধ্যে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছিল। উভয় দেশে রাষ্ট্রদূত বিনিময়ের ব্যাপারেও একমত হওয়াকে বড় ব্যাপার হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

নির্বাচনে হস্তক্ষেপসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাদের।

বৈঠকের শুরু থেকে শেষ

কূটনৈতিক শিষ্টাচার রাষ্ট্রীয় দম্ভ ভুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনই প্রথম এগিয়ে গেলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দিকে। পরিবেশটাও ছিল অন্যরকম। বাইডেন আগেই পৌঁছেছিলেন। স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে দেরিতেই এলেন পুতিন। পুতিনকে স্বাগত জানাতে ঠিক তার সামনের দরজাতেই এসে দাঁড়ালেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বড়ছোট হিসাব ভুলে করমর্দনের উদ্দেশে আগেই হাত বাড়ালেন বাইডেন (৭৮)। সহাস্যে তা গ্রহণ করলেন পুতিন (৬৮)।

বুধবার জেনেভার স্থানীয় সময় বেলা ১টায় বাইডেন ও পুতিনের মধ্যে বৈঠক শুরু হয়। জেনিভা ভিলার বাইরে করমর্দনের মধ্য দিয়ে প্রথম মুখোমুখি দীর্ঘপ্রতীক্ষিত বৈঠক শুরু করেন দুই প্রেসিডেন্ট। বৈঠকের জন্য ভিলার ভেতরে ঢোকার আগে পুতিন এবং বাইডেন একে অপরের সঙ্গে কিছু কথা বলেন।

আলোচনা শুরুর আগে বাঁ-পায়ের ওপর ডান পা রেখে এবং হাঁটুর ওপর দুহাত রেখে বসলেন বাইডেন। আর পুতিন পা দুটো ছড়িয়ে কিছুটা ম্লান চেহারায় ডান হাত চেয়ারের হাতলে রেখে বাঁ-হাতের কনুই রাখলেন বাম হাতলে। এরপরই শুরু হলো রুদ্ধদ্বার বৈঠক। এসময় দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

বাইডেনের পাশে বসে পুতিন তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “প্রেসিডেন্ট, আজ আপনার এই বেঠকের উদ্যোগের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার সম্পর্কের মধ্যে অনেক বিষয়ই জমে আছে যেগুলোর জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে বৈঠকের প্রয়োজন।”

বাইডেন বলেন, একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্র এবং পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলো নির্ধারণে মুখোমুখি বৈঠক করাটা সবসময়ই ভালো”।

দুইজনের সংবাদ সম্মেলনের পর একটি যৌথ বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা নিজেদের মধ্যকার সংঘাত এবং পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি কমাতে সহায়ক হবে, বলেন দুই নেতা।

পুতিনকে বৈঠকের সময় বাইডেন দুটো উপহার দিয়েছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। এর একটি সানগ্লাস এবং অপরটি ক্রিস্টালের ষাঁড়ের মূর্তি।

বাইডেন-পুতিন বৈঠক
দুইজনের সংবাদ সম্মেলনের পর একটি যৌথ বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা নিজেদের মধ্যকার সংঘাত এবং পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি কমাতে সহায়ক হবে, বলেন দুই নেতা।

বৈঠকের কর্মসূচিতে যা ছিল

বাইডেন ও পুতিন বৈঠকে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করেন। এসব ইস্যুর মধ্যে ছিল-যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, সাইবার হামলা, মানবাধিকার, ইউক্রেন, বেলারুশ, কৌশলগত স্থিতিশীলতা, আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি।

বৈঠক শেষে যা বলেছেন পুতিন

জেনেভার ১৮ শতকের গ্র্যান্ড ভিলায় অনুষ্ঠিত দুই নেতার বৈঠককে গঠনমূলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন পুতিন। বুধবারের শীর্ষ সম্মেলনের পরে পুতিন জানান, তাদের গঠনমূলক আলোচনায় কোনও বৈরিতা ছিল না।

পুতিন স্বীকার করেন, বৈঠকে বাইডেন মানবাধিকারের বিষয়টি তুলেছেন। রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সাই নাভালনির পরিণতি এবং বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে মস্কোর আচরণ নিয়েও কথা বলেছেন বাইডেন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নাভালনির নাম না নিয়েই তাকে কারাগারে পাঠানোর ব্যাপারে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

পুতিন জানান, স্ট্র্যাটেজিক আর্মস রিডাকশন ট্রিটি (স্টার্ট) চুক্তির সম্ভাব্য পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা শুরু করবে মস্কো ও ওয়াশিংটন। ২০২৬ সালে বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষের আগেই পরবর্তী চুক্তি নিয়ে এ আলোচনা শুরু হবে। কৌশলগত পারমাণবিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে দুই দেশেরই দায় রয়েছে।

পুতিন বলেন, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে সাইবার হামলার ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়েছে। উভয় পক্ষই সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা শুরুর ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।

বৈঠক শেষে যা বলেছেন বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৈঠককে ইতিবাচক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, তার এজেন্ডা রাশিয়া বা অন্য কারো বিরুদ্ধে নয়; বরং তার এজেন্ডা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ। যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কথা বলে যাবে।

জো বাইডেন জানান, পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি রাশিয়ার কারাবন্দি বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সাই নাভালনির বিষয়টি তুলে ধরেছেন। কথা বলেছেন রাশিয়ায় আটক দুই মার্কিন নাগরিকের বিষয়েও। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়ে আমি কিভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কথা না বলে থাকতে পারি?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন বা দেশটির নির্বাচনকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা সহ্য করা হবে না। ওয়াশিংটন এর প্রতিক্রিয়া জানাবে। এ বিষয়টি পুতিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বাইডেন জানান, তিনি বৈঠকে ইউক্রেন ইস্যুরও অবতারণা করেছেন। তিনি পুতিনকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে।

তিনি আরও বলেন, দুজনের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। তবে তা প্রতিশোধমূলক নয়। রাশিয়া নতুন কোনো স্নায়ুযুদ্ধ চায় না।

বাইডেনকে অভিজ্ঞ রাষ্ট্রনায়ক বলেন পুতিন

জো বাইডেনকে একজন অভিজ্ঞ রাষ্ট্রনায়ক এবং তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে অনেকটাই ভিন্ন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন ।

সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভূয়সী প্রশংসাও করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। জো বাইডেনকে অত্যন্ত স্মার্ট, বিচক্ষণ এবং পরিমিত স্বভাবের অধিকারী বলেও অভিহিত করেন তিনি। তিনি বলেন, বাইডেন একজন অভিজ্ঞ কূটনীতিজ্ঞ ছিলেন।

বৈঠক দুই নেতার মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস বাড়াতে সহায়তা করেছে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে আপাত দার্শনিক হয়ে উঠে পুতিন আশ্রয় নেন রুশ সাহিত্যের।

দুই দশকের বেশি সময় ধরে রাশিয়ার দণ্ডমুণ্ডের কর্তা পুতিন বলেন, “লিও টলস্টয় একবার বলেছিলেন, ‘জীবনে সুখ নেই — শুধু এর ঝলক আছে।’ আমি মনে করি যে, এই পরিস্থিতিতে কোনো ধরনের ফ্যামিলি ট্রাস্ট থাকতে পারে না। তবে আমার মতে, আমরা এর কিছুটা ঝলক দেখেছি।”

যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন পুতিন

পুতিন গত ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে ঘটে যাওয়া সহিংসতার কথা মনে করিয়ে দেন। সেদিন উগ্র ট্রাম্প সমর্থকরা ভবনটিতে ঢুকে রক্তাক্ত তাণ্ডব চালায়। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘নিজেদের সীমানার মধ্যে এই ধরনের বিশৃঙ্খলা রাশিয়া দেখতে চায় না।’

পুতিন বলেন, ‘মানুষ দাঙ্গা করছে আর রাজনৈতিক দাবি নিয়ে কংগ্রেসে ঢুকে পড়ছে। তাদের ২০-২৫ বছরের জেল দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে যা ঘটেছে তার জন্য আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। কিন্তু এটা রাশিয়ায় ঘটুক তা আমরা চাই না।’

বন্দুক সহিংসতা নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দেশে যা কিছুই ঘটুক না কেন, একভাবে না একভাবে তার দায় নেতাদের, আমেরিকার রাস্তার দিকে তাকান, প্রতিদিনই সেখানে হত্যাকাণ্ড ঘটছে। মুখ খোলারও সুযোগ পাওয়ার আগে গুলি করে খুন করা হচ্ছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার চর্চা নিয়ে পুতিন বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে সিআইএ-র গোপন কারাগার রয়েছে। আর সেখানে মানুষকে নির্যাতন করা হচ্ছে। এভাবে মানবাধিকারের সুরক্ষা দেওয়ার সঙ্গে কেউ কি একমত পোষণ করবে?’

যে প্রশ্নটি এড়িয়ে যান পুতিন

কানাডার এক নারী সাংবাদিক তার ৯ বছরের মেয়ের মনে জাগা একটি প্রশ্ন করেন রুশ প্রেসিডেন্টকে। প্রশ্নটি ছিল- রাশিয়ায় কেন তরুণ-যুবকরা বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার পায় না?

প্রশ্নটির উত্তর দিতে গিয়ে পুতিন ভবিষ্যতের জন্য সুন্দর একটি পৃথিবী গড়ার কথা বলতে থাকেন। এর মধ্য দিয়ে ওই প্রশ্নটি এড়িয়ে যান তিনি।

এই প্রশ্নের পর আর কোনো প্রশ্ন না নিয়েই সংবাদ সম্মেলন শেষ করে দেন পুতিন।

বৈঠকটি সফল নাকি ব্যর্থ?

সংবাদ সম্মেলনে পুতিন জানান, বৈঠকে বাইডেন হোয়াইট হাউজে যাওয়ার আমন্ত্রণ তাকে জানাননি। পুতিনও মস্কোতে বাইডেনকে আমন্ত্রণ জানাননি।

বৈঠকটি দীর্ঘ ৪/৫ ঘণ্টা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তিন ঘণ্টার মধ্যে বৈঠক শেষ করেছেন বাইডেন ও পুতিন। নির্ধারিত সময়ের কিছু আগেই দুই নেতার আলোচনা শেষ হয়। বৈঠকের পর পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন দুই নেতা।

কিছু বিষয়ে একমত পোষণ করলেও দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। ২০১৮ সালের পর প্রথমবারের মতো দুই দেশের এই বৈঠকে অগ্রগতি হয়েছে খুব সামান্যই।

বাইডেন ও পুতিন দুইজনই বলেছেন, “দুই দেশ প্রমাণ করে দিয়েছে যে, এমনকি উত্তেজনার সময়েও তারা অভিন্ন লক্ষ্যে অগ্রগতি অর্জন করতে পারে।”

রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা নিজেদের মধ্যকার সংঘাত এবং পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি কমাতে সহায়ক হবে, বলেন দুই নেতা।

যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্ক তলানিতে

রাশিয়া সম্প্রতি তাদের অবন্ধুসুলভ দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের নাম যোগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া উভয় দেশই বলছে, তাদের মধ্যকার সম্পর্ক এখন প্রায় তলানিতে নেমে এসেছে।

দুই দেশের কারও এখন অন্য দেশে রাষ্ট্রদূত নেই। ঊর্ধ্বতন রুশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে নানা কারণে। রাশিয়া যেভাবে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল দখল করে তা নিজ দেশের অন্তর্ভুক্ত করেছে সেটি যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষিপ্ত করেছে।

তাছাড়া অন্য দেশের নির্বাচনে রাশিয়া নাক গলায় এমন অভিযোগেও কিছু নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দুইজন সাবেক মার্কিন মেরিন সেনা এখন রুশ কারাগারে বন্দি। এদের একজন গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১৬ বছরের সাজা খাটছে।

দুই দেশের এই বৈরি সম্পর্কে আরও যুক্ত হয়েছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের একটি মন্তব্য। গত মার্চে এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন তার সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীর সঙ্গে একমত হন যে, ভ্লাদিমির পুতিন আসলে ‘একজন খুনি।’

হোয়াইট হাউস আসলে কী চায়?

হোয়াইট হাউস বলছে, তারা রাশিয়ার সঙ্গে একটি স্থিতিশীল এবং অনুমানযোগ্য সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। কিন্তু পুতিনের কাজের ধারা একেবারেই ভিন্ন।

তিনি ২০১৪ সালে যখন সেনা পাঠিয়ে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করে নিলেন, এই অঞ্চলটিকে নিজ দেশের অন্তর্ভুক্ত করলেন, তখন থেকেই তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে।

তিনি এরপর কী করবেন, সেটা কেউ অনুমান করতে পারছেন না। রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতির শুরু তখন থেকে।

তথ্যসূত্র

  • বিবিসি
  • রয়টার্স
  • আল জাজিরা
  • ওয়াশিংটন পোস্ট
  • এবিসি নিউজ
  • নিউ ইয়র্ক টাইমস
  • সিএনএন