বিশ্বব্যাপী ইসলামী শক্তির উত্থানে মাথাব্যথা বিরোধীদের

বিশ্বব্যাপী ইসলামী শক্তির উত্থানে মাথাব্যথা শুরু হয়েছে বিরোধীদের। আফগানিস্তানে তালেবানদের অগ্রযাত্রা, ইরানে রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া, ফিলিস্তিনে হামাসের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা এবং বিশ্ব রাজনীতিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের চোখে পড়ার মতো ভূমিকায় দুশ্চিন্তায় তারা।

তালেবানদের উত্থান

আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানদের হাতে যাচ্ছে এটা অনেকটাই নিশ্চিত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যে কোনো সময় তালেবানরা কাবুল দখল করে মসনদে বসবে আর এটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
গত ৯ জুলাই তালেবান মুখপাত্র শহবুদ্দিন দেওয়ান জানান, আফগানিস্তানের ৮৫ ভাগ ভুখণ্ড এখন তালেবানদের দখলে। তালেবানরা দখলে নিয়েছে ইরাক ও তাজাকিস্তানের সীমান্তবর্তী দুটি পোর্ট।

যদিও আফগানিস্তান থেকে সৈন্য ফেরত নেওয়া প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন বলেন, আফগানিস্তান রক্ষার সামর্থ সরকারি বাহিনীর রয়েছে। তাদের অস্ত্র-সস্ত্রসজ্জিত ৩ লাখ সেনা রয়েছে। তার বিপরীতে তালেবান সেনা রয়েছে ৮৫ হাজার।

তবে এই ৮৫ হাজার তালেবান সেনার বিরুদ্ধে ৩ লাখ সদস্যের সেনাবাহিনীর পরাজয়ে ইসলামি শক্তির উত্থানেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আফগান সেনারাও এখন দলে দলে তালেবান সেনাবাহিনীতে যোগ দিচ্ছে বলে খবর আসছে।

আফগানিস্তান সরকার বিভিন্নভাবে বিশ্ব শক্তিধর রাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়েও ব্যর্থ। এরই মধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে- ভারত, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ অনেক দেশ। রাশিয়া ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিটিং করেছেন তালেবান ইস্যু নিয়ে। চীন যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে বলেছে- ন্যাটো সেনাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কারণেই তালেবানরা সুবিধা পেয়েছে।

ইরানে রক্ষণশীল নেতা প্রেসিডেন্ট

এদিকে কয়েকদিন আগেই ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, কট্টরপন্থি নেতা ইব্রাহিম রাইসি। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পরেই যুক্তরাষ্ট্র -ইসরায়েলসহ অনেক দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। নির্বাচনের পরেই বিশ্বের ৬ শক্তিশালী রাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসে ইরান।

ইসরাইলের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নাফতালি বেনেট এ পরমাণু চুক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন- ইরানে এক জল্লাদ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন।
এদের সাথে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বিশ্বকে হুমকির মুখে পড়তে হবে। পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরের আগে ইব্রাহিম রাইসির ব্যাপারটি সকলকে বিবেচনা করার আহবান জানান তিনি।
বিশ্লেষকদের মতে, ইব্রাহীম রাইসি নির্বাচিত হওয়ায় আতংকিত ইসলাম-বিদ্বেষী রাষ্ট্রগুলো।

মুসলিম বিশ্বের অঘোষিত নেতা এরদোগান

অন্যদিকে, নেতৃত্বহীন মুসলিম বিশ্বের অঘোষিত নেতা হিসেবে অনেক দিন ধরেই নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন- রিসেপ তাইয়েব এরদোগান। আল আকসা থেকে বাবরি মসজিদ, রোহিঙ্গা থেকে ইসরায়েল প্রতিটি ইস্যুতে এরদোগান তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেখাচ্ছেন।
সারাবিশ্বে মুসলিম দেশগুলোকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাকেও থামানোর জন্য ছককষা হয়েছিল। ২০১৬ সালে তুরস্কে চেষ্টা হয় সেনা অভ্যুত্থানের। কিন্তু তা ব্যর্থ হয় সে যাত্রায়। এরদোগানের একটি ভিডিও বার্তার আহ্বানে তুরস্কের সেনাদের ট্যাংক আর বন্দুকের গুলি উপেক্ষা করে জনগণ সেনা অভ্যুত্থান রুখে দেয়। বিরোধীরা ব্যর্থ হয় এই সুলতানের শাসনের অবসান ঘটাতে।


তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান আসলে কী চান?


ফিলিস্তিনে ক্রমেই জনপ্রিয় হামাস

অপর দিকে, ফিলিস্তিনের হামাস এরই মধ্যে শক্তি অর্জন করে চলছে। বিভিন্ন দেশ তাদের সন্ত্রাসী বললেও তারাই একমাত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন ইসরাইলি ইহুদিবাদীদের বিরুদ্ধে। ফিলিস্তিন থেকে ইহুদি দখলদারদের হঠাতে অঙ্গিকারাবদ্ধ হামাস।

ইসরাইল বার বার জেরুজালেমকে রাজধানী করতে চাইলেও হামাসের প্রতিরোধ টপকাতে পারছে না তারা। ফলে ফিলিস্তিনে হামাসের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে।


হামাস : ফিলিস্তিনের ইসলামপন্থী সবচেয়ে বড় সংগঠন


প্রিয় বন্ধু, তালেবানদের সাথে ওসামা বিন লাদেনের প্রতিষ্ঠিত সংগঠন আলকায়দার যোগসাজশ রয়েছে বলে আতংকিত পশ্চিমা বিশ্ব। তাদের আশংকা, তালেবানদের উত্থানের সাথে সাথে আলকায়দারও উত্থান ঘটতে পারে।
আপনারা জানতে চাইলে আমরা ইসলামী শক্তির উণ্থানে আল-কায়েদা ও তালেবান সম্পর্ক কতটা প্রভাব ফেলবে এ বিষয়ে পর্যালোচনা প্রকাশ করবো । বিশ্বের সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে আমাদের ফেসবুক পেজজিনিউজ ওয়ার্ল্ড ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। নিরাপদে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

Scroll to Top