ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) নেতা চম্পত রাইয়ের মন্তব্য ঘিরে ফের বিতর্ক দানা বাঁধল। তিনি বলেছেন, হিন্দুরা বেশি সংখ্যায় সন্তানের জন্ম না দিলে ভারত মুসলিমদের দখলে চলে যাবে। সেইসঙ্গে আরও বুঝিয়ে দিয়েছেন, পরিবার পরিকল্পনা হিন্দু দম্পতিদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে না।উল্লেখ্য, পিও রিসার্চ সেন্টার’ নামে একটি গবেষণা সংস্থার রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০৫০ নাগাদ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম নাগরিকের দেশ হিসাবে ইন্দোনেশিয়াকে টপকে যাবে ভারত। ধর্মীয় মাপকাঠির ভিত্তিতে চালানো সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, গোটা পৃথিবীর সামগ্রিক জনসংখ্যার তুলনায় সংখ্যায় বেশি দ্রুত বাড়বে মুসলিমরা।২০৫০ নাগাদ হিন্দুরা সংখ্যায় তৃতীয় সর্ববৃহত গোষ্ঠী হয়ে উঠবে বলেও সমীক্ষাটিতে জানানো হয়েছে। তবে একইসঙ্গে তাতে বলা হয়েছে, ভারতে হিন্দুরাই সংখ্যাগুরু থাকবে, কিন্তু ইন্দোনেশিয়াকে পিছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিমের দেশও হয়ে উঠবে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে চম্পত রাই বলেছেন, হিন্দুরা এক সন্তানে খুশি থাকলে মুসলিমরা জনসংখ্যার বিচারে হিন্দুদের ছাড়িয়ে যাবে। চম্পত রাই ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, পরিবার পরিকল্পনা ব্যক্তিগত বিষয় নয়। তিনি বলেছেন, হিন্দুদের মাইনে বাড়লেও খরচের ভয়ে বেশি সন্তান নিতে চান না। পরিবার পরিকল্পনা কোনও দম্পতির ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে না বলেও চম্পত রাই মন্তব্য করেছেন। সারা বিশ্বেই যেখানে জনসংখ্যায় ভারসাম্যর অভাব দেখা যায় সেখানে আরও বেশি সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য সরকার নাগরিদের উত্সাহ দেয়।
তিনি আরও বলেছেন, ভিএইচপি ঘর ওয়াপসি-র কর্মসূচী চালিয়ে যাবে। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকারের তাতে সমর্থন থাক বা না থাক, ভিএইচপি এই কর্মসূচী চালিয়ে যাবে। কারণ, সংগঠন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল এই বিষয়টি। দেশের মানুষকে তাঁদের পূর্বপুরুষ সম্পর্কে অবহিত করাই আমাদের কর্তব্য।
প্রবীণ তোগাড়িয়ার রাজ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় চম্পত রাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারেরও সমালোচনা করেছেন। তাঁর দাবি, বাংলার হিন্দু সমাজের উত্থান ঘটছে। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ককে তুষ্ট রাখতে চাইছে। তোগাড়িয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা হাস্যকর বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।