ভারতে মুসলিম ও খ্রীষ্টানদের পরিবার পরিকল্পনা করার পরামর্শ দিয়ে আবার নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে মহারাষ্ট্রের হিন্দুত্ববাদী দল শিবসেনা।
দলের মুখপত্র সামনায় তারা বলেছে, ‘মুসলিম ও খ্রীষ্টানদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা হিন্দুদের জন্য একটা বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে’।
মাত্র দুদিন আগেই এই সামনা-তে শিবসেনার সিনিয়র নেতা সঞ্জয় রাউত লিখেছিলেন ভারতে মুসলিমদের নিয়ে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি বন্ধ করতে হলে মুসলিমদের ভোটাধিকারই কেড়ে নেওয়া উচিত।
তাঁর সেই মন্তব্য নিয়ে তুমুল প্রতিবাদ ও সমালোচনা শুরু হওয়ার পর মি রাউত অবশ্য কিছুটা পিছু হঠে তখন বলতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁর মন্তব্যকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
পরিবার ছোট হলে মুসলিমরা নিজেদের ছেলেমেয়েকে ঠিকমতো খাওয়াতে ও পড়াশুনো করাতে পারবে
শিবসেনা মুখপত্র সামনা-র সম্পাদকীয়
তবে আজকের সামনা-র সম্পাদকীয়তে যে প্রস্তাব করা হয়েছে তাতে ভুলবোঝাবুঝির অবকাশ কম। শিবসেনা নেতৃত্ব সেখানে পরিষ্কার বলেছে মুসলিম পরিবারগুলোকে যদি ‘সুখী ও স্বাস্থ্যবান’ হতে হয় তাহলে সেগুলোর আকার ছোট করতেই হবে।
মুসলিমদের জোর করে ‘নাসবন্দী’ (নির্বীজকরণ) করানো উচিত বলে সম্প্রতি কট্টর দক্ষিণপন্থী সংগঠন হিন্দু মহাসভার নেত্রী সাধ্বী দেবা ঠাকুর যে মন্তব্য করেছেন শিবসেনার সম্পাদকীয়তে টেনে আনা হয়েছে সে প্রসঙ্গও।
শিবসেনা বলেছে, ‘তাঁর নাসবন্দী কথাটা ব্যবহার করা উচিত হয়নি – বলা উচিত ছিল পরিবার পরিকল্পনা। তবে পরিবার পরিকল্পনা আর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আসলে একই জিনিস, যেটা অবিলম্বে এদেশের মুসলিম ও খ্রীষ্টানদের চালু করা দরকার।’
‘তবে জোর করে রাস্তার কুকুরদেরও কিন্তু নির্বীজকরণ করা যায় না – মানেকা গান্ধী তখন তাদের হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। পরে সেই কুকুরই কিন্তু মানুষকে কামড়ায়’, বলা হয়েছে ওই সম্পাদকীয়তে।
দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থেই তাদের পরিবার পরিকল্পনার উপর জোর দেওয়া উচিত, এই পরামর্শ দিয়ে শিবসেনা ভারতের মুসলিমদের উদ্দেশে বলেছে ‘পরিবার ছোট হলে তারা নিজেদের ছেলেমেয়েকে ঠিকমতো খাওয়াতে ও পড়াশুনো করাতে পারবে – তাদের জীবনের মানও হবে উন্নততর’।
সূত্রঃ বিবিসি