লেবাননের বৈরুতে হিজবুল্লাহ সমর্থকদের এক বিক্ষোভে গুলি চালানো ও ছয় জন নিহতের ঘটনায় এক সিরিয় নাগরিকসহ ৯ জনকে আটক করেছে লেবাননের সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার তাদের আটক করা হয়েছে বলে দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা বন্দুকযুদ্ধের পর এখন অঘোষিত যুদ্ধবিরতি। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত থাকলেও পরবর্তী সংঘাত এড়াতে ইতোমধ্যে লেবাননের রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। এদিকে বন্দুকযুদ্ধে ছয় জনের নিহত ও আরও ৩০ জনের আহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে লেবানন রেড ক্রস। ঘটনার পর অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার অঙ্গীকার করেছেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন ।
এর আগে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, লেবাননের বৈরুতে হিজবুল্লাহ সমর্থকদের এক বিক্ষোভে গুলি চালানো হয়েছে। এতে অন্তত ছয় জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির বিচারপতি তারেক বিতারকে বৈরুত বন্দর বিস্ফোরণের তদন্ত থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে এই বিক্ষোভ হচ্ছিলো। হিজবুল্লাহ ও আমাল এই বিক্ষোভ মিছিল বের করে। দল দু’টি ওই বিচারপতিকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ হিসেবে অভিযুক্ত করছে। বিক্ষোভে অংশ নিতে হিজবুল্লাহর শত শত সমর্থক কালো পোশাক পরে জাস্টিস প্যালেসের বাইরে জড়ো হয়।
লেবাননের বর্তমান অবস্থা এখন কেমন? কী হচ্ছে দেশটিতে?
এর আগে বৈরুত বিস্ফোরণের ঘটনায় দেশটির রাজনৈতিক দল হিজবুল্লাহ ও আমালের এক বিক্ষোভ মিছিলে গুলিতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বৈরুতে বিচার বিভাগের সদর দফতর প্যালেস অব জাস্টিসের বাইরে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। লেবাননের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৈরুতের তাইওনেহ-বাদারো অঞ্চলে ওই গোলাগুলি হয়। গোলাগুলির ঘটনায় সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তা নিরাপত্তা বেষ্টনি দিয়ে রেখেছে। পাশাপাশি গোলাগুলির সঙ্গে জড়িত বন্দুকধারীদের আটকের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
গত ৪ আগস্ট তারিখে লেবাননের বৈরুত বন্দরে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বন্দরের ১২ নম্বর ওয়্যারহাউজ গুদামে অবহেলার সাথে সংরক্ষিত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকে সংঘটিত এই বিস্ফোরণে বন্দর সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। এতে দুই শ’র বেশি মানুষ নিহত ও ছয় হাজার মানুষ আহত হয়। পুরো বন্দর বিধ্বস্ত হওয়ায় দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পথ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।