আফ্রিকা থেকে সাগরপথে অবৈধভাবে ইউরোপে আসার সময় ইঞ্জিনের নৌকা ডুবে গেলে আবারও বহু লোকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভূমধ্যসাগরে অভিবাসী-ভর্তি নৌকাডুবির সর্বশেষ এই ঘটনাটি ঘটেছে লিবিয়ার উপকুলের কাছে।
নৌকাটিতে সাতশোর মত যাত্রী ছিল, কিন্তু শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মাত্র ২৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে।
আজকের এই ট্রাজিক দুর্ঘটনার পর, গত সাড় তিন মাসে ইউরোপে আসতে গিয়ে সাগরে ডুবে নিহতের সংখ্যা দাড়ালো অন্তত দেড় হাজারে।
লিবিয়ার সমুদ্র উপকূল থেকে ১৭ মাইল দূরে শনিবার মধ্যরাতে আফ্রিকা থেকে সাতশোর মতো অভিবাসী নিয়ে নৌকাটি ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায়। তাদের গন্তব্য ছিলো ইউরোপের দেশ – ইটালি।
নৌকাটি যেখানে ডুবেছে সেটি ইটালির ল্যাম্পেডুসা দ্বীপের দক্ষিণে, ইটালির উপকূল থেকে সমুদ্রের ১৩০ মাইল গভীরে।
বলা হচ্ছে, অভিবাসীদের বহনকারী নৌকাটি যখন সাগরে আরেকটি বাণিজ্যিক নৌকাকে অতিক্রম করছিলো, তখন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে যাত্রীরা একপাশে ছুটে গেলে ভারসাম্য হারিয়ে নৌকাটি ডুবে যায়।
সাংবাদিকরা বলছেন, এধরনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগে এমন কী উদ্ধার অভিযানের সময়েও এধরনের নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে।

যাত্রীদের গন্তব্য ছিল ইটালির এই ল্যাম্পেডুসা দ্বীপ – যেখানে নিয়মিত এসে নামেন বহু অভিবাসী
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা এই ঘটনাটিকে ভূমধ্যসগারে আজ পর্যন্ত যতো দুর্ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে সব চেয়ে মর্মান্তিক বলে উল্লেখ করেছে।
সংস্থাটির একজন মুখপাত্র ক্যারলোটা সামি বলছেন, বেঁচে যাওয়া একজন যাত্রী তাকে জানিয়েছেন যে নৌকাটিতে কমপক্ষে সাতশো জন যাত্রী ছিলো। এপর্যন্ত হাতেগোনা মাত্র কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার অভিযানের কাজে সমন্বয় করছে কোস্ট গার্ড। মাল্টাও উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করছে। তিনি আশা করছেন পানি যেহেতু খুব বেশি ঠাণ্ডা না, সে কারণে আরো কিছু মৃতদেহ উদ্ধার করা যেতে পারে।
তবে যাই হোক না কেনো, ভূমধ্যসাগরে এটা সবচে মর্মান্তিক ঘটনা। ডুবে যাওয়া লোকজনের খোঁজে এখন ব্যাপক তল্লাশি চলছে।
উদ্ধার অভিযানে অংশ নিচ্ছে কুড়িটির মতো জাহাজ ও তিনটি হেলিকপ্টার। উপকূল রক্ষী, কাস্টমসের জাহাজ এমনকি মাছ ধরার ছোট ছোট নৌকাও উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করছে।
ইটালির উপকূল রক্ষী বাহিনীর মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, তারা এখন লোকজনকে খুঁজে বের করে তাদেরকে উদ্ধারের উপর জোর দিচ্ছেন। তবে তার আশঙ্কা যে একসময়ে এটি শুধু মৃতদেহ উদ্ধারের অভিযানে রূপ নেবে।
সম্প্রতি এই সাগর অতিক্রম করে ইটালিতে লোকজনের পাড়ি দেওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এবছরেই এভাবে ইউরোপ আসতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে দেড় হাজারের মতো মানুষ।
মাত্র কয়েকদিন আগে লিবিয়ার উত্তর উপকূলে আরো একটি নৌকাডুবির ঘটনায় চারশোর মতো মানুষের মৃত্যু হয়।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.