সিরিয়ার হেমেইমিম বিমানঘাঁটিতে অত্যাধুনিক কিছু অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের পরীক্ষা করেছে রাশিয়া।
যেসব অস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে সর্বাধুনিক সুখোই-৩৫ জঙ্গিবিমান ও টাইফুন-এম আর্মর্ড ভেহিকেল। এছাড়া, রশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে একটি ড্রোনের ছবিও দেখা গেছে। রোববার এসব অস্ত্র পরীক্ষা করেছে রাশিয়া।
সুখোই-৩৫ বিমান হচ্ছে আমেরিকার অত্যাধুনিক এফ-৩৫ বিমানের সমতুল্য। এছাড়া, টাইফুন-এম আর্মর্ড ভেহিকেল যুদ্ধক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর একটি সামরিক যান। এর আগেও সিরিয়ায় বেশকিছু নতুন অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের ব্যবহার করেছে রাশিয়া।
২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। সে সময় থেকেই রাশিয়া তার অস্ত্র ভাণ্ডারের নতুন নতুন অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পরীক্ষা করে আসছে।
সিরিয়ার গ্রামে বিমান হামলা চালানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করল রাশিয়া
সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দেইর আজ-জোর প্রদেশের একটি গ্রামে রাশিয়ার জঙ্গিবিমান বোমাবর্ষণ করেছে বলে একটি মানবধিকার সংস্থা যে অভিযোগ করেছে তা কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করেছে মস্কো। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘দেইর আজ-জোর প্রদেশের আশ-শাফাহ গ্রামে হামলার কাজে রাশিয়ার বিমান বাহিনীর কোনো বিমান ব্যবহৃত হয়নি। ’
লন্ডন-ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস সোমবার দাবি করেছিল, রাশিয়ার দূরপাল্লার তোপোলভ টিইউ-২২ জঙ্গিবিমান সিরিয়ার আশ-শাফাহ গ্রামের আবাসিক এলাকায় বোমাবর্ষণ করেছে। রোববারের ওই হামলায় অন্তত ৫০ ব্যক্তি নিহত হয় বলে সংস্থাটি দাবি করে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, সব ধরনের তথ্য এবং সাক্ষ্য যাচাই করে দেখা গেছে, রাশিয়ার জঙ্গিবিমান আবাসিক এলাকায় বোমাবর্ষণে জড়িত ছিল না। এটি মস্কোর বিরুদ্ধে সিরিয়ান অবজারভেটরির ধারাবাহিক মিথ্যাচারের অংশ।
বিবৃতিতে বলা হয়, রুশ জঙ্গিবিমান ওই গ্রাম থেকে বহু দূরে উগ্রবাদী গোষ্ঠী আইএসের অবস্থানে বোমাবর্ষণ করেছে এবং সেখানে কোনো আবাসিক ঘরবাড়ি ছিল না।
এর আগে রোববারই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, দেশটির ছয়টি দূরপাল্লার জঙ্গিবিমান সিরিয়ার দেইর আজ-জোর প্রদেশের দজলা নদীর তীরে অবস্থিত একটি উপত্যকায় আইএসের একটি ঘাঁটিতে বোমাবর্ষণ করেছে। এসব জঙ্গিবিমান রাশিয়ার একটি বিমান ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করেছিল বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
গত কয়েকদিনে রাশিয়ার টিইউ-২২ যুদ্ধবিমান দেইর আজ-জোরে আইএস সদস্যদের ওপর অনবরত বোমাবর্ষণ করেছে। সিরিয়ার সেনাবাহিনী যাতে অতি দ্রুত দায়েশ অধ্যুষিত সর্বশেষ এলাকাগুলো পুনরুদ্ধার করতে পারে সে লক্ষ্যে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
সিরিয়া সরকারের অনুরোধে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে আইএসের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া।