জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইয়েমেনের সংকট সমাধানের উপায় নিয়ে কাতারের রাজধানী দোহায় সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এই সংলাপের জন্য মধ্যস্থতা করছে জাতিসংঘ।
হুতি বিদ্রোহীদের দমনে আরব উপসাগরীয় দেশের প্রতি সোমবার সামরিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইয়েমেনের হাদি সরকার। এ দিনই সংকট উত্তরণের পথ নিয়ে সংলাপের কথা জানায় জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের দূত জামাল বেনোমার নিরাপত্তা পরিষদকে জানান, গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে ইয়েমেন। এখনই সংকট দূর করা না গেলে দেশটি ইরাক, সিরিয়ার মতো হয়ে যাবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
জামাল বেনোমার জানান, দোহায় সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। ইয়েমেন নিয়ে কোনো চুক্তির প্রয়োজন হলে তা হবে সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স সৌদ আল ফয়সাল বলেন, ইয়েমেনের সার্বভৌমত্ব এবং সরকারকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে আমার দেশ। গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) প্রতি হাদি সরকার সহায়তা চাওয়ার পর প্রিন্স ফয়সাল এ কথা বলেন।
হুতিদের সহায়তার জন্য ইরানকে দায়ী করা হচ্ছে। ইরানের সমর্থন পেয়ে সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী হুতি ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চল দখল করেছে এবং রাজধানী সানাও তাদের দখলে। তবে ইরানের প্রতি এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইরানি সরকার ও হুতিরা।
প্রিন্স ফয়সাল বলেছেন, ‘ইয়েমেনে ইরানের হস্তক্ষেপের বিরোধী আমরা…প্রকৃতপক্ষে এটি আগ্রাসনের শামিল। ইয়েমেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা আন্তরিক। দেশটির বৈধ সরকারকেও আমরা সহায়তা দেব।’
প্রিন্স ফয়সাল আরো বলেন, ‘আমরা আশা করি শান্তিপূর্ণভাবে ইয়েমেনের সংকট দূর হবে। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট হাদি আমাদের কাছে অনুরোধ জানালে আমরা যেকোনো ধরনের সাহায্য দিতে প্রস্তুত রয়েছি।’
ইয়েমেনের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ ইয়াসিন হুতিদের বিরুদ্ধে জিসিসির প্রতি সামরিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান। তিনি নো-ফ্লাই জোন ঘোষণার জন্য জাতিসংঘের প্রতিও আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, সানা থেকে উৎখাত হওয়ার পর ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদ মানসুর হাদি বন্দর নগীর এডেনে পালিয়ে গেছেন। এডেনকে নতুন রাজধানী ঘোষণা করেছেন।
তথ্যসূত্র : আলজাজিরা অনলাইন।