নারী ওয়েটারের চুল টেনে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা প্রার্থনা

গত একমাস ধরে ক্যাফেতে কর্মরত এক মহিলা কর্মীর চুল ধরে টানতেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু আর নয়। শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চেয়ে নিলেন প্রধানমন্ত্রী জন কে।

মহিলা কর্মীর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির কাছের একটি ক্যাফেতে কাজ করতে তিনি। প্রায়ই প্রধানমন্ত্রী তার চুল ধরে টানতেন। মানা করলেও শুনতেন না।

এ যন্ত্রণা আর সহ্য করতে না পেরে নিজের ব্লগে ক্ষোভ উগরে দেন ওই মহিলা। নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে তার ক্যাফেতে এসে চুল ধরে টানতেন প্রধানমন্ত্রী। মানা করলেও শুনতেন না, এমন সব কড়া কড়া কথা লেখেন ব্লগে।

শেষের লেখাটি বিস্ফোরক, “প্রথমে আমি ভেবেছিলাম উনি ইয়ার্কি করছেন। পরে বুঝলাম তা নয়!”

প্রধানমন্ত্রী ও তার ব্যক্তিগত সচিবরের কাছে এ নিয়ে বহুবার অভিযোগ করলেও তাতে কান দেননি কেউ। শেষে আর একবার তার চুল ধরে টানলে তিনি পাল্টা ঘুষি চালাবেন, কার্যত হুমকি দেন ওই মহিলা।

“আপনার আচরণ আমার পছন্দ নয়”, সাফ কথা ওই মহিলার। এতেই টনক নড়ে প্রধানমন্ত্রীর।

পাশের দোকান থেকে দুই বোতল দামি মদ কিনে এনে ওই মহিলাকে উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের আচরণের জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন।

আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়ে দেয়া হয়, “ওই ক্যাফের কর্মীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জন কে’র সু-সম্পর্কের জন্যই তিনি বারবার ওই ক্যাফেতে যেতেন। তার লঘু আচরণে কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে প্রধানমন্ত্রী দুঃখিত।”

Scroll to Top