স্বর্ণপদকজয়ী ইঁদুর মাগাওয়া

স্বর্ণপদকজয়ী ইঁদুর মাগাওয়া : যেভাবে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচালো

মাগাওয়া স্বর্ণপদকজয়ী একটি ইঁদুরের নাম। সেনাবাহিনীতে কাজ করতো। বর্তমানে অবসরে গেছে। বিশ্বে অনেক আগে থেকেই কুকুর সেনাবাহিনীতে কাজ করে আসছে। কিন্তু ইঁদুরও যে সামরিক বাহিনীতে কাজ করে, এটা হয়তো অনেকের কাছেই অবাক হওয়ার মতো খবর।

আমাদের কাছে ইঁদুর একটি অপকারী প্রাণী হিসেবেই পরিচিত। তবে সেই ইঁদুর সামরিকবাহিনীতে শুধু কাজই করছে না, এরই মধ্যে স্বর্ণপদকও অর্জন করেছে। আজকে আপনাদের জানবো সামরিক বাহিনীতে কাজ করা স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ইঁদুরটি সম্পর্কে। যার কৃতিতে রক্ষা পেয়েছে অনেক মানুষের জীবন।

স্বর্ণপদকজয়ী ইঁদুর মাগাওয়া

ইঁদুরটির নাম মাগাওয়া। যার জন্ম হয় আফ্রিকায় ২০১৪ সালে। এরপর বেলজিয়ামের দাতব্য প্রতিষ্ঠান অ্যাপোপো তাকে মাইন খোঁজা এবং বিস্ফোরকের ওপর ১ বছরের প্রশিক্ষণ দেয়।

জন্ম আফ্রিকায় হলেও ইঁদুরটির কর্মস্থল ছিল কম্বোডিয়ায়। প্রশিক্ষণ শেষে ইঁদুরটিকে কম্বোডিয়ার মাইন অ্যাকশন সেন্টারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে ইঁদুরটি পাঁচ বছর কম্বোডিয়ায় মাইন খোঁজার কাজ করে আসছিল।

তার পাঁচ বছরের ক্যারিয়ারে মাগাওয়া ৭১টি মাইন ও অনেক বিস্ফোরক দ্রব্য শনাক্ত করে অনেক মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে। স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২০ সালে অর্জন করেছে বিশেষ স্বর্ণ পদক।

বয়সের ভারে মাগাওয়ার গতি কিছুটা কমে যাওয়ার ২০২১ সালের জুনের প্রথমদিকে অবসরে পাঠানো হয়েছে।

কম্বোডিয়ায় ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত গৃহযুদ্ধ চলাকালীন প্রচুর পরিমাণে মাইন ও বিস্ফোরক পুঁতে রাখা হয়েছে। ধারণা করা হয় ৬ লাখের বেশি মাইন কম্বোডিয়ায় পুঁতে রাখা হয়েছে।

বেলজিয়ামের দাতব্য প্রতিষ্ঠান অ্যাপোপো ১৯৯০ সাল থেকে ইদুরকে মাইন শনাক্তের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। এ প্রশিক্ষিত ইঁদুরকে হিরো র‌্যাটস বলা হয়। মাগাওয়া ছিল সেসবেরই একটি। বর্তমানেও প্রতিষ্ঠানটি অনেক ইদুরকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

Scroll to Top