বুন্দেলখণ্ড এলাকার তিকমগড় জেলার এসডিএম (সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট) পানির সমস্যা মেটাতে বহুবিবাহের বিধান দিলেন। জাতারার এসডিএম বি কে পাণ্ডে লিধোরা গ্রামের একটি সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, “একজন স্ত্রী থাকবে সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য, অন্য দুই স্ত্রী থাকবে দূর থেকে গিয়ে জল তুলে আনার জন্য।” নিজের এই উদ্ভট মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে পাণ্ডেবাবু বলেন, কিছুদিন আগে আমি বাইওয়াড় গ্রামের জাতারা ব্লকে গিয়েছিলাম, তখন দেখেছিলাম রাত ২ টোর সময় এক মহিলা পানি তুলছেন। তাঁর কথায়, পানির সঙ্কট একটা বড় সমস্যা এখানে। “যাঁরা করিৎকর্মা তাদের তিনটি বউ থাকা উচিত, যদি তারা পানি খেতে চায়। তবে যাঁরা করিৎকর্মা নয় তিনটি বউ তাদের সাধ্যের বাইরে।” মধ্যপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলের তিকমগড়, ছাতারপুর, পান্না, দামোহ এবং সাগর এলাকায় বছরের পর বছর পানির ঘাটতির সমস্যা রয়েছে। গ্রীষ্মকালে এই সঙ্কট আরও তীব্র হয়ে যায়। পানির সঙ্কট মেটাতে পাণ্ডেবাবুর বিধান শোনার পর তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, বুন্দেলখণ্ডে কী মহিলার সংখ্যা যথেষ্ট? তাতে অবশ্য এসডিএম-এ উত্তর এটা সত্যি যে বুন্দেলখণ্ডে মহিলার সংখ্যার হার কম। কিন্তু এর জন্য তিনি দায়ী করেন পড়শী জেলা ঝাঁসিকে। বুন্দেলখণ্ডের এই পাঁচ জেলায় কেউ মেয়ের বিয়ে দিতে চায় না জলের সমস্যার জন্য। কারণ সবাই জানেন, বিয়ে দিলে তাঁর মেয়েকে দীর্ঘ পথ হেঁটে গিয়ে পানি তুলে তা বয়ে আনতে হবে। বহুবার কলপারে মহিলাদের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে যা এই পানির সঙ্কটের সমস্যাকে আরও স্পষ্ট করে দেয়। সূত্র : ওয়ানইন্ডিয়া –