কো-পাইলট অন্দ্রেজ লুবিটজ জার্মানউইং বিমানটি ইচ্ছাকৃত ধ্বংস করেছেন, এটা এখন সবারই জানা। কিন্তু কেন তিনি এমন বিধ্বংসী সিদ্ধান্ত নিলেন, যার বলি হলো ১৫০ জন মানুষ? এ প্রশ্নে উত্তর খোঁজা শুরু করেছে পুলিশ। জার্মান পুলিশ ইতোমধ্যেই ডাচেলফোর্ডে লুবিটজের ফ্ল্যাটে তল্লাশী চালিয়েছে। সেখান থেকে পুলিশ এমন কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে, যেগুলো প্রমাণ করে ব্যক্তিগতভাবে বিমর্ষ সময় কাটাচ্ছিলেন এই পাইলট।
পুলিশের সংগ্রহকৃত আলামত প্রমাণ করে, অতি সম্প্রতি ২৮ বছর বয়সী এই পাইলটের প্রেমের সম্পর্কটি ভেঙে গিয়েছিলো। এ নিয়ে রীতিমত বিধ্বস্ত ছিলেন তিনি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।
পুলিশ দাবি করেছে, ওই ফ্ল্যাট থেকে তারা বিশেষ একটা জিনিস পেয়েছেন। লিখিত এক নোটে লুবিটজ ওই বিশেষ জিনিসটি তার বান্ধবীকে দেয়ার অনুরোধ করেছেন। তবে এটি কোনো সুইসাইড নোট নয়, এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তবে এ সম্পর্কে আর বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাতে অস্বীকার করে পুলিশ।
জার্মান পুলিশের উদ্বৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় যে, লুবিটজ এ বিমর্ষতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। একদিন আগেই লুবিটজের উধ্র্বতন কর্মকর্তা তাকে বলেছিলেন, তার এখন নিরাপদে থাকা উচিত। এই মুহূর্তে তার বিমান চালানোটা ঠিক হবে না। কিন্তু এটিও ঠিক যে, বিমান চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষায় উতরে গিয়েছিলেন তিনি। এসব পরীক্ষায় সফল হওয়ার পরই তাকে বিমান পরিচালনার উপযুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিলো।
গত মঙ্গলবার স্পেনের বার্সেলোনা থেকে জার্মানির ডাচেলফোর্ডের দিকে যাওয়ার সময় ফ্রান্সের আল্পস পর্বতমালায় বিধ্বস্ত হয় জার্মানউইংসের একটি বিমান। এতে বিমানটিতে থাকা ১৫০ আরোহীর সবাই মারা যান। পরে বিমানটির ফ্লাইটরেকর্ডরের তথ্য বিশ্লেষণ করে তদন্ত কর্মকর্তা দাবি করেন, কো-পাইলট ইচ্ছাকৃতভাবেই বিমানটি ধ্বংস করেছেন। বিমানটির মালিক সংস্থা লুফথানসাও দাবি করেন, কো-পাইলটই বিমানটি ধ্বংস করেছেন।
শেষমুহূর্ত পর্যন্ত ফ্লাইট রেকর্ডারে পাওয়া গেছে কো-পাইলটের শ্বাসপ্রশ্বাসের শব্দ। আর বিমানটি নিচে নেমে যাবার সময় যাত্রীরা যে আর্তনাদ করছিলো; তাও সংগৃহীত রয়েছে ফ্লাইট রেকর্ডারে।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.